একদিকে হাসিনার রায়ের আনন্দ, অন্যদিকে ফাঁসি নিয়ে নিজের অবস্থান আমার মধ্যে এক যে টানাপোড়েন তৈরি করেছে, সেটা মাথায় নিয়েই বলতে পারি, বাংলাদেশে গত দেড় বছরে প্রায় সকল রাজনৈতিক পরিসর ‘বিচার’ প্রশ্নে একাট্টা ছিল। এটা আসলে সেই একাট্টার ফসলও।

যদিও বলা হয়, ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে পারিনি, এটাই নাকি ইতিহাসের শিক্ষা। আমাদের সেই চক্র থেকে বের হতে হবে।

এ মুহূর্তে দাঁড়িয়ে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞার রাজনীতি অনুধাবন করতে পারলেই আমরা টের পাব, কীভাবে আমরা আওয়ামী লীগের রেখে যাওয়া গর্তে আটকে আছি।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঘটনার ইতিহাসের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগ ও শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বের প্রশ্নে বাংলাদেশের

গণতন্ত্রের অনুপস্থিতিই পাকিস্তান ভাঙার অন্যতম কারণ হিসাবে আবুল মনসুর আহমদ চিহ্নিত করেছিলেন।

আমি মনে করি, জাতি-রাষ্ট্রের বাইরে যা আছে সেটা হচ্ছে জাতীয় সীমানা ব্যতীত এক জগত, কিন্তু সংগঠিত জনসাধারণ নিয়েই। 

বাহাত্তরের গণপরিষদে জাতি পরিচয় নিয়ে মানবেন্দ্র লারমার যুক্তি-তর্কের কথা মনে রাখলেই এর অগণতান্ত্রিক চেহারার খোঁজ পাওয়া যাবে।

বাংলাদেশের পুলিশের ‘ভাবমূর্তি’ আবারো মারাত্মক ‘সঙ্কটে’ পড়েছে, তবে সেটা তাদের কর্মকাণ্ডে নয় বরঞ্চ কর্মকাণ্ডের চিত্রায়নের কারণে। অর্থাৎ পুলিশের কর্মকাণ্ডে তাদের

মুসলমান অস্তিত্বের মূলমন্ত্র যেখানে ক্রমাগত সংগ্রাম করে যাওয়া, সেখানে এ বিষয়টাই তাদের কাছে এখন অপরিচিত।

নিম্নবর্গের অধ্যয়নে যা ঘটছিল তা হচ্ছে, তারা যুক্তি দিচ্ছিলেন এমনকি আপনি যখন জাতীয় বা আঞ্চলিক পরিচয়ের মত একটি সমগ্র নির্মাণ করেন তখন সেই পরিচয় নির্মাণও ক্ষমতাচর্চাকারী কর্তার (এজেন্সি) একটি ক্রিয়াকলাপ।